বেকার বকবক # ২
আমার অফিসে প্রত্যেক বছর এই নভেম্বরের শেষে কতগুলো turkey চাকরির খোঁজে আসে।
San Ramon এর একটা ছোট পাহাড় থেকে নেমে আসে কর্পোরেটের আঙিনায়। কেন কিভাবে কে জানে , তবু আসে। চার পাঁচজনের দল ঘুরতে থাকে এ দরজা থেকে ও দরজা। কোন কোন দিন আরও অনেক বড় দল। পাহাড়গুলো বৃষ্টি ভিজে এখন ঘন সবুজ। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো রঙ মেখে বসে আছে। একটা নীল আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে ওদের। ঝকমকে রোদের দিনে খুব সুন্দর লাগে পাহাড় গুলোকে। আবার যেদিন মেঘ মেখে বসে থাকে সেদিন খুব মন কেমন করে। ওই সুন্দর গড়িয়ে আসা পাহাড়ের গায়ে যে পাখিগুলোর বাস ওরা যে কেন আসে কর্পোরেটের দরজায় বুঝি না। বেশ তো ছিলি, রোদ মেখে ঘুরে বেড়াচ্ছিলি কিংবা বৃষ্টি ভিজে নেই-কাজ দিন গুজরাচ্ছিলি। তোদের মতো কাজ নেই কর্ম নেই দায়িত্ব নেই দায় নেই জীবন পেলে আমরা তো বর্তে যেতাম। সিগারেট ব্রেক এ আমার সাথে মূলত মোলাকাৎ ওদের (Cigerette Smoking is injurious to health , সিগারেট কর্কট রোগের কারন এবং কর্কট মৃত্যুর কারন ইত্যাদি ইত্যাদি ). সেখানেই যা কিছু কথোপকথন। যদিও কোনদিনই কোন উত্তর পাই নি। Automated দরজার সামনে রোজ এসে দাঁড়াবে , কিন্তু কোনদিন ভেতরে ঢুকতে পারে না , আমি অন্তত দেখিনি। সবাই দেখে , ছবি তোলে , টেক্সট করে বন্ধুদের বা social network এ পাঠায়। Like ও পায় নিশ্চই অনেক , কিন্তু ওরা চাকরি পায় না। সেদিন আমার সিগারেট প্রায় শেষ , তখন একটা Turkey আমার খুব কাছে চলে এল। ভাবছি পিছু হটব না কি , তখন হঠাৎ ওর চোখে চোখ পড়ল। বড্ড মায়াবী একটা চোখ , অনেক কিছু লেখা আছে তাতে। আমি কি ছাই জানি নাকি সে চোখের ভাষা। তবু তাকালাম। ওর চোখে চোখ রেখে। হঠাৎ মনে হল খুব বিপদে পড়েই ও চাকরির খোঁজে এসেছে। চাকরিটা না পেলে হয়ত ওর জীবন সংশয়। কি জানি ? উল্টো পাল্টা কি ভাবছি ভেবে সিগারেটটা নিভিয়ে ফিরে গেলাম আমার অফিসে। Elevator যখন 4th আর 5th floor এর মাঝামাঝি , হঠাৎ মনে হল আমারও তো Turkey Day যে কোন দিন আসতে পারে যদি কোন বন্দুকধারী মানসিক উম্মাদ কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমার বাঁচার অধিকার ?
No comments:
Post a Comment