বেকার বকবক #২০
দোতলা বাড়ি। তিনটে বেডরুম। লাল ইঁট দিয়ে গাঁথা বাড়িটাকে বাইরে থেকে দেখলে কোন ঐতিহাসিক বাড়ি বলে মনে হয়। আশপাশের সব বাড়ি গুলোও একইরকম দেখতে। ত্রিভুজের আকারে উঠে গেছে তাদের ছাদ। জানলা দরজা সাদা রঙের। সাদা পর্দা লাগানো সব জানলায়। রাস্তার ধারে সার বেঁধে park করা গাড়ি। কোথাও কোন শব্দ নেই , দূর থেকে মাঝে মাঝে দ্রুতগতিতে চলে যাওয়া গাড়ির শব্দ ছাড়া। কৃষ্ণা আর চন্দ্রা দরজা খুলে আমাকে ভেতরে নিয়ে গিয়ে বলল , এই তোমার নতুন বাসা। ভক করে সম্বর রসমের গন্ধ নাকে। Heathrow airport এ নেমে প্রথমবার British accent শুনে মনে হচ্ছিল ইংরিজি ভাষাটা কোনদিন শুনিনি। অচেনা দেশ , অচেনা মানুষজন, অচেনা সবকিছু । উনিশশো নব্বুইয়ের মাঝামাঝি। প্রথমবার বিদেশ। সম্বরের গন্ধে তাই London পৌঁছে প্রথম আমার আমি চিনি গো চিনি তোমারে অনুভূতি। London ঠিক না। London থেকে একটু দূরে। ছোট্ট শহর। নাম High Brooms । এই দুই দক্ষিণী ছেলে এ বাড়িতেই থাকে। এটা আমাদের কোম্পানীর গেস্ট হাউস। Project এর কাজে কেউ আসলে এখানেই থাকার ব্যবস্থা। সুতরাং আমার জিনিসপত্র নিয়ে দোতলার কোণায় একটা ছোট্ট ঘরে ঢুকে পড়লাম। এটাই আমার ঘর। একটা single bed । ছোট একটা টেবিল। জামাকাপড় রাখার একটা ছোট জায়গা , closet তার নাম। ছাদের ওই ত্রিভুজের একটা দিক এ ঘরের একটা দেওয়াল। সেই দেওয়ালে একটা ছোট্ট জানলা। সে জানলায় দাঁড়িয়ে একটু আকাশ দেখা যায়। আর দেখা যায় উল্টোদিকের কতগুলো একইরকমের বাড়ি আর রাস্তার কিছুটা। মাস তিনেক আমাকে এখানেই আস্তানা গাঁড়তে হবে।
কাছেই একটা Indian restaurant এ রাতে খেতে গিয়ে কৃষ্ণা আর চন্দ্রা বলল ওদের Project এর মেয়াদ শেষ , তাই ওরা আর সপ্তাহ দুয়েক পর ফিরে যাবে দেশে। দিন দুয়েকের মধ্যে বুঝে গেলাম নিয়ম কানুন। সকাল সকাল হেঁটে High Brooms স্টেশন। সেখান থেকে British Rail এ পাঁচ মিনিট Tunbridge Wells , যেখানে আমার অফিস। আবার বিকেলে একইভাবে ফেরা। হাঁটা পথেই grocery store । কিছু খাবার দাবার কিনে এনে নতুন চেনা microwave এর সাথে আলাপচারিতা। দুসপ্তাহ পরে কৃষ্ণা চন্দ্রার ঘরগুলো খালি হয়ে গেল। ভাবলাম একটা বড় ঘরে থাকি। কিন্তু তখন আমার ওই খুপরি জানলার সাথে কিরকম একটা সখ্যতা হয়ে গেছে। ও ঘরেই থেকে গেলাম। সকাল সকাল অফিস যাই , সন্ধ্যেবেলা ফিরি। রাস্তায় লোকজন খুব কম । আশপাশের বাড়ি গুলোতে কেউ থাকে বলে মনে হয় না। কাউকে দেখা যায় না। তিনটে বাড়ি পরে একটা বাড়ির সামনে মাঝে মাঝে এক ভদ্রলোককে Lawn mow করতে দেখি। একমাত্র Grocery store এ গেলে কিছু মানুষ দেখা যায়। মাঝে মাঝে কিছু না লাগলেও ওখানে যাই। তারপর বাড়ি ফিরে microwave , television , ঘুম। ঘুম আসে না , রাত প্রায় দশটা অবধি সুর্য্যের আলো , তখন জুন মাস। খুপরি জানলাটায় বসে আকাশ দেখি। কোন কোনদিন চিঠি লিখি কাউকে , কলকাতায়।
কাছেই একটা Indian restaurant এ রাতে খেতে গিয়ে কৃষ্ণা আর চন্দ্রা বলল ওদের Project এর মেয়াদ শেষ , তাই ওরা আর সপ্তাহ দুয়েক পর ফিরে যাবে দেশে। দিন দুয়েকের মধ্যে বুঝে গেলাম নিয়ম কানুন। সকাল সকাল হেঁটে High Brooms স্টেশন। সেখান থেকে British Rail এ পাঁচ মিনিট Tunbridge Wells , যেখানে আমার অফিস। আবার বিকেলে একইভাবে ফেরা। হাঁটা পথেই grocery store । কিছু খাবার দাবার কিনে এনে নতুন চেনা microwave এর সাথে আলাপচারিতা। দুসপ্তাহ পরে কৃষ্ণা চন্দ্রার ঘরগুলো খালি হয়ে গেল। ভাবলাম একটা বড় ঘরে থাকি। কিন্তু তখন আমার ওই খুপরি জানলার সাথে কিরকম একটা সখ্যতা হয়ে গেছে। ও ঘরেই থেকে গেলাম। সকাল সকাল অফিস যাই , সন্ধ্যেবেলা ফিরি। রাস্তায় লোকজন খুব কম । আশপাশের বাড়ি গুলোতে কেউ থাকে বলে মনে হয় না। কাউকে দেখা যায় না। তিনটে বাড়ি পরে একটা বাড়ির সামনে মাঝে মাঝে এক ভদ্রলোককে Lawn mow করতে দেখি। একমাত্র Grocery store এ গেলে কিছু মানুষ দেখা যায়। মাঝে মাঝে কিছু না লাগলেও ওখানে যাই। তারপর বাড়ি ফিরে microwave , television , ঘুম। ঘুম আসে না , রাত প্রায় দশটা অবধি সুর্য্যের আলো , তখন জুন মাস। খুপরি জানলাটায় বসে আকাশ দেখি। কোন কোনদিন চিঠি লিখি কাউকে , কলকাতায়।