বেকার বকবক #১৬
মাঝে মাঝে এমন একেকটা ঘটনা ঘটে যে আমি কে , কেন, কোথায় এসব দার্শনিক ভাবনা চিন্তা আমাকে লাগাতার তাড়া করে বেড়ায়। অথচ যখন হয়, হঠাৎ। কিছুর মধ্যে কিছু না, অকস্মাৎ , একদিন আচানক। এইতো বছর খানেক আগে এক মনোরম সন্ধ্যায় একটা পাৰ্টিতে যাব বলে তৈরী হচ্ছি। তার মাস ছয়েক আগে কেনা একটা দামী jeans পরতে গিয়ে দেখি কোমরে আর আঁটছে না । কাছেই ছিলেন কাছের মানুষ। চোখাচোখি হতেই আমি বললাম “ছোট হয়ে গেছে”. ব্যাস। বিষ্ফারিত চোখে উনি বললেন “ছোট হয়ে গেছে ? নিজেকে দেখেছ একবার আয়নায় ?”. কি বিপদ বলুন। কি করে বোঝাই জামাকাপড় ছোট হয়ে যাওয়ার সমস্যাটা আমার ছোটবেলা থেকেই আছে। কয়েকমাস অন্তর অন্তর জামা প্যাণ্ট ছোট হয়ে গেলে আমার বাবা আমাকে পাঠাতেন “ফিটফাট টেলার্স “ -এ. সেখানে এক টাক মাথা ভদ্রলোক টুলে বসে ঢুলতেন । ওনাকে আমরা ফিটফাট কাকু বলে ডাকতাম। সেই ফিটফাট কাকু আমায় দেখে মুচকি হেসে বলতেন “কি আবার ছোট হয়ে গেছে ? এদিকে আয় “ বলে একটা ফিতে দিয়ে আমার মাপ নিতেন। এরকম কয়েক বার হওয়ার পর বাবার নির্দেশে দু সাইজ বড় জামা প্যাণ্ট বানাতে শুরু করলেন। সেই ঢলা পোশাক পরে কেটে গেল আমার শৈশব কৈশোর। History repeats itself তাই সেই সমস্যা আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু এই তত্ত্ব কাউকে বোঝানো , তাও আবার আজকের দিনে ? ঝগড়া হল , আরও ঝগড়া হল। বাড়ন্ত বাচ্চা বলে আমায় অপমান করার পর বোঝানোর চেষ্টা করলাম মানুষ মাত্রেই grow করে ,সেটাই কাম্য , শুধু একটা সময়ের পর growth টা দৈর্ঘ্যে না হয়ে প্রস্থে হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে দাম্পত্য কলহে কোনদিন কোন পুরুষ জেতে নি , সুতরাং একদিন সকালে আমি আয়নার সামনে দাঁড়ালাম।